খুবই সুন্দর প্রশ্ন। যেহেতু অবিবাহিতরাই বিবাহ সম্পর্কে বেশি জানে তাই এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিৎ মনে করছি।

সব মেয়েরা তাদের জীবন সঙ্গী হিসেবে একজন ভালো স্বামী বা বর চায়। ভালো স্বামীর কর্তব্য বা গুণাবলী কি সেটা সবাই কম বেশি জানেন। ভালো স্বামী চেনার উপায় কি নিচে আলোচনা করা হল।

  • কখনোও তার স্ত্রীর বলা গোপন কথা অন্য কাউকে বলবে না।
  • তার স্ত্রীর কাছে ভালোবাসার পরিমাণ করতে বার বার ভালো বাসার প্রমাণ চাইবে না।
  • স্ত্রীর মা বাবাকে কখনো ছোট করে কথা বলবে না।
  • সবসময় তার স্ত্রীকে বারবার মুখে না বললেও কাজের মাধ্যমে বুঝাবে যে, সে তার পাশে সব সময়ই আছে।
  • স্ত্রীকে কখনোই শারীরিক বা মানসিক নিযার্তন করেনা।
  • কখনো তার স্ত্রীকে অসম্মান করার বা অপমানিত হওয়ার মত কিছু বলে ও করে না।
  • একজন ভালো স্বামী কখনো স্ত্রীর আড়ালে গিয়ে ধোঁকা দেওয়ার মতো কিছু করবে না।

সংসারে দু’জন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তৃতীয়জন হলো শয়তান, যে সবসময় সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরাতে চায়, রাগিয়ে দিতে চায়, স্বামী বা স্ত্রীকে পাপকাজে নিমজ্জিত করে তাদের পবিত্র সম্পর্কে অপবিত্রতা প্রবেশ করাতে চায়।

কম সুদর্শন পুরুষদের সঙ্গেই বেশি সুখী নারীরা: গবেষণা

ভালো স্বামী চেনার উপায় তো জেনে নিলেন। ভাল স্বামী পাবার জন্য স্ত্রীকেও একজন ভাল মনের মানুষ হতে হবে। সংসারে স্বামী মাঝে বিভিন্ন কারনে মাঝে ঝগড়া হতেই পারে। তখন মাথা ঠান্ডা রাখা দরকার। রাগ করে এমন কিছু করা বা বলা উচিত নয় যেটা আপনার সোনার সংসার ভেঙ্গে যেতে পারে।

জেনে নিন সুখী দম্পতি চেনার উপায়-

সম্পর্কের শুরুটা যত সহজই হোক না কেন, তা চালিয়ে যাওয়া খুব সহজসাধ্য নয়। একটি সম্পর্ক সফল করতে হলে দুই পক্ষেরই বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আসতে হয়। এটি সহজ না হলেও অসম্ভব নয়। সুখী দম্পতির বিষয়টিও তেমন। একটা জীবন একজন মানুষের সঙ্গে কাটিয়ে দেয়ার বিষয়টিতে জড়িয়ে থাকে নানা গল্প। কখনো তা ধৈর্যের, কখনো ত্যাগের, কখনো ভালোবাসার। কিছু চিহ্ন দেখলেই সুখী দাম্পত্য চেনা যায়-

স্পর্শ
দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকলে শারীরিক সম্পর্কেও অনেক পরিবর্তন আসে। একটা সময়ের পর রোজ যৌন সম্পর্ক হয় না, কিন্তু তাই বলে তারা পরস্পরের কাছাকাছি আসা বন্ধ করেও দেন না। সিনেমায় যেমন দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী কাজে বেরোনোর আগে পরস্পরকে চুম্বন করেন, তেমনটা বাস্তবেও করা কিন্তু সুখী দাম্পত্যেরই লক্ষণ।

আলাদা শখ
সুখী দম্পতি পরস্পরের সঙ্গে অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটান, পাশাপাশি নিজেদের পছন্দের কাজগুলো করতেও পিছপা হন না। একে অপরের আগ্রহের বিষয়গুলোয় উৎসাহ জোগানো এবং সেই সঙ্গে নিজের জন্যও খানিকটা সময় আলাদা করে রাখাটা খুব প্রয়োজনীয়। মনোবিদেরা বলেন, যাদের নানা বিষয়ে উৎসাহ থাকে, তারা একে অপরকে নিয়েও আগ্রহটা বাঁচিয়ে রাখতে পারেন।

সংসার সুখের হয় দু’জনের গুণে এমনই বলছে গবেষণা

পাশে থাকাদাম্পত্য সম্পর্কে পরস্পরের দোষত্রুটিগুলোকে মেনে নেওয়ার অভ্যেস তৈরি করতে হবে। কেউই পারফেক্ট হয় না, আপনিও নন। আপনার দোষত্রুটি যদি অন্য মানুষটি মেনে নিয়ে থাকেন, তা হলে তার ভুলচুকও আপনাকে মেনে নিতে হবে। ভালো খারাপ সব কিছু একসঙ্গে সামলাতে পারলে প্রমাণিত হবে আপনারা ক্ষমাশীল এবং সম্পর্কটাকে সুস্থ রাখতে আগ্রহী।

পরিবারের প্রতি উষ্ণতা
একে অপরের পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠাটাও সফল দাম্পত্যের অন্যতম শর্ত। অপছন্দ হলেও একে অপরের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাটা জরুরি।

আর্থিক ভারসাম্য
সুখী দম্পতিরা আর্থিক ভারসাম্য বজায় রেখেই চলেন। সাধারণত উপার্জন, টাকা জমা ও খরচ বিষয়ে তাদের ধ্যানধারণা একইরকম হয়। টাকাপয়সা খরচের অভ্যেসে ফারাক থাকার দরুন বহু বিয়ে ভেঙে যায়। তাই আর্থিক ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। বড় কোনও খরচ করার আগে পরস্পরকে জানিয়ে রাখুন।